যুগান্তর :
বেশি কান্নাকাটি করায় দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে নিজের আট মাসের শিশুপুত্রকে হত্যা করলেন মা সাদিয়া আক্তার বীথি (২১)।
বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার শিশুর বাবা হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এরপর শিশুটির মাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শিশুর নাম আদনান লাবীব সাদ। সে ওই গ্রামের হারুন অর রশীদের ছেলে।
হারুন অর রশীদ বলেন, বুধবার রাতে এশার নামাজ শেষে বাজার ঘুরে সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে ফেরেন তিনি। তার ঘরের আলো বন্ধ ছিল। তাদের শিশু সন্তান দু’বার বমি করেছে বলে তার স্ত্রী বীথি তাকে জানায়।
তিনি বলেন, শুক্রবার চিকিৎসকের কাছে নেয়ার কথা বলে তিনি শুয়ে পড়েন। তারপরও সন্তানের গায়ে হাত বুলিয়ে দেহ ঠাণ্ডা লাগছে বলে আলো জ্বালিয়ে দেখতে বলেন স্ত্রী বীথি। তিনি আলো জ্বালিয়ে দেখেন নিথর দেহ সন্তানের মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে। এসময় কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া যায়।
শিশুর বাবা বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর বাবা পেয়েছিলাম। কী দোষ ছিল আমার আট মাসের শিশু সন্তানের। এবার আমাকে বাবা হারা করল আমার স্ত্রী।’
শিশুটির দাদা আছমত আলী বলেন, বাড়ির উঠোনের এক কোনায় আয়রন ট্যাবলেটের বোতল দেখে তা হাতে নিয়ে দেখেন কীটনাশকের গন্ধ। ওষুধ মনে করে কীটনাশক খাইয়ে ফেলেছে বলে বীথি জানায়।
বীথির শাশুড়ি হামিদা বেগম জানান, এর আগেও বীথি বিষ খাইয়ে আমার নাতিনকে হত্যার কথা বলেছিল। আট মাস আগে আমার ছেলের সঙ্গে মনোমালিন্য নিয়ে ঢিল ছুঁড়ে মোবাইল ভেঙে ফেলেছিল।
শ্রীপুর থানার এসআই সৈয়দ অজিজুল হক বলেন, বেশি কান্না করায় দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে শিশু সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে বীথি। শিশুর মা স্বামীকে নিয়ে আলাদা সংসার করতে চেয়েছিল।
শিশুর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।